বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার হুলাহুলিয়া ধনপুর গ্রাম
গত ০৬ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ঃ০০ টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নস্থ আলোকিত গ্রাম ধনপুর “নবাব স্যার সলিমুল্লাহ পাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব উদ্বোধন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
<span;>এতে সভাপতিত্বে গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জনাব জামাল প্রধান করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এমদাদুল হক, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোক্তা ও ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন। অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন, জিয়া মজুমদার, মাহবুব আলম, সাব ইনস্পেক্টর নান্নু, সহ অত্র এলাকার বিশিষ্টজন।
<span;>বিশেষ করে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম ধনপুর ব্রিটিশ ভারতের সময় একটা থানা ছিল। যার এক তৃতীয়াংশ দেশ ভাগের সময় ভারতের সীমানার মধ্যে পড়ে যায়। বাংলাদেশ অংশে বর্তমানে গ্রামটিতে নারী পুরুষ মিলিয়ে ১২০ জন বাসিন্দা বাস করে। যার অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। গ্রামটির বাসিন্দাদের মধ্যে ২০ জন আছেন শিক্ষকতা পেশায় জড়িত, ২ জন বাংলদেশ পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর, একাধিক সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত, একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ফাইনাল ইয়ারে, একজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ অধ্যয়ন করছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের কৃতী শিক্ষার্থী রয়েছে গ্রামের বাসিন্দা।
<span;>কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে গ্রাম ছোট গ্রাম হিসেবে শতভাগ শিক্ষা হার সহ গ্রামটিতে রয়েছে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ। তারা নিজেদের কে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার শীর্ষে নিয়ে গেছেন। ইউনিয়নের প্রধান সড়ক হতে প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বা কাঁদা মাটির রাস্তা পার হয়ে তারা প্রতিদিন জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে কয়েক কিলোমিটার দূরে স্কুলে পড়াশোনা করতে যান। সমাজ ও জীবন পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলেন কর্মক্ষেত্রে।
গ্রামের একজন আরেকজন কে প্রতিনিয়ত সহায়তা করার মাধ্যমে এগিয়ে চলেন আলোর খুঁজে। এমন সৃজনশীল ও মননশীল গ্রাম দেখে যে কেউ বিস্মিত হবেন।
আজ গ্রামটিতে সংযুক্ত হল গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাত একটি গণপাঠাগার। এই পাঠাগারই হবে আগামী প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার কারখানা।
বক্তৃতায় অতিথিরা গ্রামের সকল উন্নয়ন কাজে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এই গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রাম করার জন্য যা যা দরকার সবধরনের সহায়তা করবে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ।